খুব কম মেয়েরাই আছে, যারা মুটিয়ে যাওয়ার ভয়ে সাইকোলজিক্যাল প্রবলেমে ভোগে না। তবে এটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যে খুবই সহজ, সেটা মাথায়ও থাকে না। সচেতন হলেই আমরা নিজের মুডকে বুস্ট-আপ করতে পারি।
বাচ্চা হওয়ার পরে মা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। সকাল থেকে দুপুর ও রাতে যে তার প্রাত্যহিক কাজ করার মেইনটেন্যান্সটা, সেটার ব্যাঘাত ঘটে। জীবন যাপনে বিশাল একটা চেঞ্জ চলে আসে। সেখান থেকে একটা স্ট্রেস থাকে— আমি আসলে কী নিজের জন্য সময় বের করে ডায়েট করতে পারব?
অনেক মাই মনে করে, আমি যেহেতু বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছি, এই সময়ে ডায়েট করতে পারব না। এটা একটি ভুল ধারণা। আপনি চাইলে ডায়েট মেইনটেইন করেও কিন্তু ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার বাচ্চার যে দুগ্ধ পান করার সিস্টেমে কোনো ব্যাঘাত ঘটাবে না।
অনেকে মনে করে বেশি বেশি মিষ্টি খেলে বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে মিল্ক সিক্রেশন বেশি হয়, এটাও ভুল ধারণা। প্রধান কথা হচ্ছে, শারীরিকভাবে আপনি হাইড্রেটেড আছেন কি না, শরীরে পানির ফ্লো পর্যাপ্ত আছে কি না।
এ জন্য দুগ্ধ দানকারী মায়েদের বাচ্চাকে ব্রেস্ট ফিড করানোর আগে দুই গ্লাস পানি খাবেন এবং ব্রেস্ট ফিড করানোর পরে দুই গ্লাস পানি খাবেন। দিনের খাদ্য তালিকায় সুষম খাবার রাখতে হবে।
যেহেতু আপনি ওজন কমাতে চাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে আপনি কার্বোহাইড্রেট কী ধরনের চয়েস করবেন, সেটা খুব ইমপরটেন্ট। বিশেষ করে যারা ওভার ওয়েট হয়ে গেছেন, তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এক্সারসাইজ করা সম্ভব নয়। তাই এই ফ্যাটটা বার্ন করতে হলে আপনাকে কার্বোহাইড্রেটকে কাট করতে হবে। যেমন আগে যে ধরনের কার্বোহাইড্রেট নেওয়ার কথা ছিল, যদি আপনি দুই কাপ কার্বোহাইড্রেট নেন, সে ক্ষেত্রে আপনি দেড় কাপ করে ফেলবেন এবং সেটা আপনি ফুল-ফাইবার করবেন। মানে ব্রাউন রাইস বা ব্রাউন আটা আপনি খাবেন।
লাল চাল বা লাল আটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যাদের বাচ্চা হয়ে যায়, তাদের একটা অভিযোগ থাকে— ‘আমার ঘন ঘন খিদে লাগে, আমি কী খাবার খাব?’
আপনি অবশ্যই দুধ খাবেন। কারণ, দুধ—যেটা নন-ফ্যাট সেটা আপনার দরকার। ফ্যাট বাদ দিয়ে দুধে যে অন্য উপকরণ আছে, সেগুলো আপনার মিল্ক সিক্রেশন করতে অনেক সাহায্য করবে।
প্রসূতি মায়েদের খাদ্য তালিকায় কী কী রাখতে হবে, তা জানতে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিন।